বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ৭ গুণ বেশি, এফটিএর পরামর্শ সিপিডির
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকৃত পণ্যে বাংলাদেশ ৭ গুণ বেশি শুল্ক প্রদান করছে। তিনটি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে প্রায় ১৭ কোটি ডলার রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা করছে সিপিডি। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যে শুল্ক সমস্যা: রাজস্ব ক্ষতি ও এফটিএ চুক্তির প্রস্তাব
বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে সিপিডির এক আলোচনায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্কের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর শুল্ক অনেক বেশি। গত বছর বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ১২৭ কোটি ডলারের শুল্ক আদায় করেছে, তবে বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া পণ্যে শুল্ক আদায়ের পরিমাণ ১৮ কোটি ডলারের বেশি নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করলে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে ৯ এপ্রিল তিন মাসের জন্য এই শুল্ক স্থগিত করা হয়।
এছাড়া, বাংলাদেশে কিছু পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) করার পরামর্শ দিয়েছেন সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, এফটিএ করলে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও লাভবান হতে পারে। তার মতে, বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজতর করতে এবং সুলভ শুল্ক সুবিধা পাওয়ার জন্য এফটিএ গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানির ক্ষেত্রে তিন ধরনের পণ্য, যেমন স্ক্র্যাপ, এলপিজির উপাদান বিউটেনস ও প্রোপেন, শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলে বাংলাদেশের মোট ১৬ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে, যা দেশের জন্য এক বড় ক্ষতি হতে পারে।
তবে মোস্তাফিজুর রহমান উল্লেখ করেছেন, চীন থেকে পোশাকের ব্যবসা বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কৃত্রিম তন্তুর পোশাকের চাহিদা বাড়লেও বাংলাদেশ এখনও এই পণ্যের রপ্তানিতে পিছিয়ে রয়েছে।
What's Your Reaction?
Like
1
Dislike
0
Love
0
Funny
0
Angry
0
Sad
0
Wow
0