ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় সাত বাংলাদেশি গ্রেপ্তার, ইউরোপ ভিসা পেতে অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছিলেন তারা।

ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাত বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। তারা ইউরোপের বুলগেরিয়ায় ভিসা পেতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। ১২ এপ্রিল, শনিবার রাতে ভারতের কালিমাতা মন্দির সংলগ্ন পীরাগড়ি ক্যাম্প এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এখন পর্যন্ত বিষয়টি বাংলাদেশি প্রশাসনকে জানানো হয়নি।

Apr 19, 2025 - 21:24
Apr 29, 2025 - 21:58
 0  8
ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় সাত বাংলাদেশি গ্রেপ্তার, ইউরোপ ভিসা পেতে অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছিলেন তারা।
ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় সাত বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের আটক করার মুহূর্ত।

ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাত বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

ফেনীর প্রকাশ:
ভারতে ইউরোপের বুলগেরিয়া ভিসা পেতে যাওয়ার সময় ফেনীর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে সাত বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিলেন। ১২ এপ্রিল, শনিবার সন্ধ্যায় ভারতের কালিমাতা মন্দির সংলগ্ন পীরাগড়ি ক্যাম্প এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন— গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার সুনাম উদ্দিনের ছেলে রবিন হোসাইন (২৮), নওগাঁ জেলার পত্নীতলার রঘুনাথ গ্রামের আবু জাফরের ছেলে মো. রাফি (২৫), ফেনীর পরশুরাম উপজেলার নিজকালিকাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসাইন (২৭), একই উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের আহমদের ছেলে সাইদুর জামান (২৮), নরসিংদী জেলার রায়পুর উপজেলার চরসুবুদ্ধি গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে ফয়সাল (২৪), চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার গাজরা গ্রামের ফারুক মোল্লার ছেলে রায়হান মোল্লা (২১), এবং ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ফয়েজ আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫)।

সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইউরোপের বুলগেরিয়া ভিসা পেতে পরশুরাম পৌর এলাকার বাসপদুয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে তারা অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন এবং ভারতের দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। পরবর্তীতে, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ঢাকা পোস্টকে জানান, “গ্রেপ্তারের তথ্য আমরা নিজস্ব সূত্রের মাধ্যমে পেয়েছি। তবে, ভারতীয় প্রশাসন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের অবহিত করেনি। তারা দাপ্তরিকভাবে জানালে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রেপ্তার হওয়া এক যুবকের পরিবারের সদস্য জানান, পরশুরামের একটি দালাল চক্র তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভারতীয় দিল্লি পৌঁছানোর কথা বলেছিল, কিন্তু কাগজপত্রের অভাবে তারা আটক হন।

বর্তমানে, বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশি প্রশাসন এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ চলছে।

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0